ক্রীড়া ডেস্ক ॥ সাকিবের মোহামেডানের আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শেখ জামালের রান ৫ উইকেটে ৮৫। সেখান থেকে একটি দল কত-ই বা করতে পারে! ৫.৬৬ ওভারপ্রতি রান তোলা শেখ জামালের রান লড়াকু কিছু হবে অনুমেয়। কিন্তু সোহান ও জিয়ার ছক্কা বৃষ্টিতে সব এলোমেলো। শেষ ৫ ওভারে তারা দুজন যোগ করলেন ৭৬ রান। ৭ ছক্কা ও ৫ চারে ৬২ রান-ই এলো বাউন্ডারি থেকে। রান রেট এক লাফে ৮.০৫। সব মিলিয়ে শেখ জামালের পুঁজি ৫ উইকেটে ১৬১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে মোহামেডান অনেক লড়াইয়ের পরও ১৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি। ১৬ রানের পরাজয়ে ঢাকা লিগে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল মোহামেডান। দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল শেখ জামাল। সাকিবের বোলিং পারফরম্যান্স দুর্দান্ত হলেও ব্যাটিং এবং অধিনায়কত্ব পুরোপুরি ফ্লপ। বল হাতে ১২ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে মাত্র ২ রান করেন। এনামুলের বলে এগিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে টানা তিন বল উইকেট ছেড়ে খেলতে চেয়েও কিছু করতে পারেননি। নিজের বোলিং ১১ ওভারে শেষ করেছেন। অথচ ওই সময়ে শেখ জামালের শেষের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং বাকি ছিল। শুরুর আক্রমণের পর শেষের জন্য ওভার জমিয়ে রাখতে পারতেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। মোহামেডানের দুই স্পিনার সাকিব ও আসিফ দিয়েছেন ৩০ রান। তিন পেসার তাসকিন, আবু জায়েদ ও আবু হায়দার মিলিয়ে দিয়েছেন ১২৪ রান। শেখ জামালের ইনিংসের শুরুটা ছিল ধীর গতির। ওপেনার আশরাফুল ও সৈকত আলী ৬.৪ ওভারে মাত্র ৩০ রান তোলেন। আশরাফুল ২৪ বলে ১৫ রান করে সাকিবের বলে আউট হন। ওই ওভারেই সাকিব তুলে নেন ফারদীন হাসানের উইকেট। এরপর নাসির হোসেন (৯), সৈকত আলী (২০) ও ইলিয়াস সানী (৫) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। এরপরই পাল্টে যায় শেখ জামালের উইকেট। দলের চিত্র পাল্টানোর নায়ক সোহান ও জিয়া। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৮০ রানের জুটিতে স্রেফ এলোমেলো সাকিবদের বোলিং আক্রমণ। মোহামেডান ১৫ রান তুলতেই হারায় ৪ উইকেট। ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ এনামুল। পারভেজ হোসেন ইমন (০) ডানহাতি অফস্পিনারের বল মিস করে বোল্ড হন। এরপর সাকিব ও ইরফান শুক্কুরকেও বোল্ড হন এনামুল। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান লিমনকে (১২) সাজঘরের পথ দেখান ইবাদত। চতুর্থ উইকেটে নাদিফ ও শামসুর ৪৮ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামলে নেন। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙার পর আবার একই চিত্র। শামসুর (২৯) জিয়াউর রহমানের বলে সালাউদ্দিন শাকিলের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর ইনিংস শেষ পর্যন্ত মোহামেডানের ইনিংস একাই টেনেছেন নাদিফ। ৪৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৭ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া শুভাগত হোম ১৩ ও আবু হায়দার ১৪ রান করেন। এনামুল ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের সেরা। ২ উইকেট নেন জিয়াউর রহমান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে শেখ জামালের খোলনলচে পাল্টে দেওয়া সোহান।
Leave a Reply